বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে তরুণী ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় বিব্রত মহানগর আওয়ামী লীগ। তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কমিটিকে সুপারিশও করা হয়েছে।
এদিকে, বুধবারের মধ্যে ঘরে তুলে না নিলে ধর্ষণ অভিযোগ তুলে নেয়া তো দূরের কথা, বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে নানা অপকর্ম প্রকাশ করার আলটিমেটাম দিয়েছেন ভুক্তভোগী তরুণী।
বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে থানায় প্রতারণা ও ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই তরুণী। তার অভিযোগ, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে প্রেম ও শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তোলেন জসিম। অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বরিশাল সদর হাসপাতালে সন্তান গর্ভপাতও করানো হয়।
সোমবার রাতে ওই অভিযোগ করার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জসিমের সঙ্গে তরুণীর বেশ কিছু ঘনিষ্ঠ ছবি ছড়িয়ে পড়ে।
রোববার পারিবারিকভাবে অন্য এক তরুণীকে বিয়ে করেন জসিম। আর এর পরই প্রতারণা ও ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন ওই তরুণী। এমনকি বুধবারের মধ্যে তাকে ঘরে না তুললে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
মুঠোফোনে ওই তরুণী জানান, দীর্ঘ প্রেমের সম্পর্কের পর বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করা হয় তাকে। এরপর সন্তান গর্ভপাত করা হয়। তাকে ঘরে তুলে না নিলে জসিমের নানা অপকর্ম তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করা হবে বলে জানান তরুণী।
এ ব্যাপারে মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি জসীম উদ্দিন বলেছেন, ‘আমি আবারও রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার। যে মেয়েকে দিয়ে এই অভিযোগ করানো হয়েছে সেই মেয়ে সম্পর্কে আমার আত্মীয় হয়। তাকেই ঢাল বানিয়ে আমার বিয়ের পরেই আমার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলা হচ্ছে। এর আগেও টপ টেন শো রুম ভাঙচুর করে আমার নাম দেয়া হয়েছিল। পরে সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে সত্য বেরিয়ে আসে। এবারেও এমন ষড়যন্ত্রের শিকার আমি। মানসিকভাবে আমাকে ধ্বংস করার পায়তারা করছে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা।’
বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার ওসি কমলেশ চন্দ্র হালদার বলেন, ‘অভিযোগ দিয়েছেন ওই তরুণী। তবে সত্যতা যাচাই চলছে। ওই তরুণীর বাসায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তিনি থানায় আসতে চাচ্ছেন না।’
এদিকে এ ঘটনায় বিব্রত বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগ। ভাবমূর্তি রক্ষায় ও বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর। এ ছাড়া জসিমের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সুপারিশও করা হয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে।